নিউজ ডেস্কঃ
প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের
সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৭,৬২,০০০ সাত লক্ষ বাষট্টি হাজার টাকা প্রতারণা করেছেন শফিউল আলম মুন্না নামে এক ব্যাক্তি এমনটি জানিয়েছেন থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ কারী মো: ফরিদ আলী, বাদী ফরিদ আলী জানান,শফিউল আলম মুন্নার সাথে চট্টগ্রাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠে এবং কিছু দিন পর ফরিদ আলী দুবাই চলে যান চাকরির সুবাদে এবং বিবাদী মুন্না ও সৌদি আরব চলে যান, প্রায় সময় দুজনের মধ্যে মোবাইলে কথা হতো, ভুক্তভোগী ফরিদ আলী, পিতা :মো: আব্দুল আলীম সাং এড়ালিয়া থানা : বানিয়াচং জেলা হবিগন্জ বাদী ফরিদ আলী জানান, শফিউল আলম মুন্না দেবিদ্বার উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নজরুল মিয়ার ছেলে, বাদী ফরিদ আলী জানান সৌদি আরবে ভালো ভিসা আছে বলে কয়েকজন লোক লাগবে থাকলে দেন, ফরিদ আলী বিষয়টি শুনে তার দুই আত্মীয় এবং দুই জন সহকর্মীর কথা বলেন এবং জনপ্রতি ২,৫০০০০ টাকা করে লাগবে শুনে বাদী ফরিদ আলী রাজি হয়ে তার দুই আত্মীয় এবং দুই সহকর্মী মোট চার জন বাবদ টাকা দেওয়ার জন্য রাজি হলে এর কিছু দিন পর শফিউল আলম মুন্না গত ০৭/০১/২৪ইং তারিখে দেশে চলে আসে এবং বাদী ফরিদ আলীকে মোবাইল ফোনে জানায় এবং তার কিছু দিন পর বাদী ফরিদ আলী ২৮/০৪/২৪ইং তারিখে দুবাই থেকে দেশে চলে আসে এবং শফিউল আলম মুন্নাকে মোবাইল ফোনে জানায় , বাদী ফরিদ আলী জানান, বিবাদী মুন্না জানায় জনপ্রতি পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ১ লাখ টাকা এবং ভিসা আসলে ১ লাখ টাকা আর ফ্লাইট কনর্ফাম হলে বাকী ৫০,০০০ টাকা দিতে হবে, একপর্যায়ে বাদী ফরিদ আলী একমত হলে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় তার আত্মীয় এবং সহকর্মী কয়েক ধাপে নয়াপল্টনে নগদে প্রায় ৫ লাখ টাকা এবং ব্যাংক একাউন্টে প্রায় দুই লাখ টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে ২০ হাজার টাকা করে দেন, বাদী ফরিদ আলী ও মেডিকেল রিপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ বিকাশে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন জানান, সবমিলে মোট ৭,৬২,০০০ সাত লক্ষ বাষট্টি হাজার টাকা দেন এবং ফরিদ আলী জানান মুন্না টাকা নিয়ে আমাদেরকে জাল ভিসা প্রদান করেন কিছু দিন পর যোগাযোগ করার জন্য শফিউল আলম মুন্নার বাড়িতে বাদী ফরিদ আলী সহ তার আত্মীয় ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম, এবং দুই সহকর্মী অভি ও সাহেদ বিষয়টি এলাকার মেম্বার সহ আরো লোকজন কে জানালে তারা সমাধান করে দিবে বলে পরে সমাধান করতে না পারায় বাদী ফরিদ আলী থানায় এসে অভিযোগ করেন, এই বিষয় শফিউল আলম মুন্নাকে গণমাধ্যমে কর্মী ফোন দিলে মুন্না জানান পুরো বিষয়টি বানোয়াট মিথ্যা এবং তাদের সাথে কথা হয়েছে জনপ্রতি চার লাখ টাকা করে এবং তারা ব্যাংকের মাধ্যমে কিছু টাকা দিয়েছে আমার কাছে ডুকমেন্ট আছে পরবর্তীতে তারা টাকা সময় মতো দিতে না পারায় আমার নামে পুরো মিথ্যা একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, এই বিষয়টি বাদী ফরিদ আলী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।