মতামতঃ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তেজনা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনা ও বক্তব্য দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে।নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তার এই হুমকিকে রাজনৈতিক চাপ কিংবা প্রশাসনিক জটিলতার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ড. ইউনূস বরাবরই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে সক্রিয় থাকায়, তার পদত্যাগ দেশ-বিদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
এদিকে বিএনপি ও এনসিপি মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও ৬ উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি দেশের রাজনৈতিক বিভাজন আরও প্রকট করছে। এটি প্রমাণ করে, দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো এখনো সমঝোতার বদলে প্রতিযোগিতামূলক দোষারোপের পথেই এগোচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের একটি ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও জামায়াতের অতীত কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানোয় রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের দরজা খুলতে পারে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক কূটচাল বা অন্তঃকলহ নিরসনের প্রচেষ্টা হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। এটি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে কিছুটা হলেও সংলাপের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।
তবে রাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন তার এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এম শহীদুজ্জামান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের এমন বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার ঝুঁকি রাখে।
দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্বশীল বক্তব্য, এবং সর্বদলীয় সংলাপ। একতরফা দোষারোপ কিংবা হুমকির বদলে আলোচনার টেবিলে বসাই হবে গণতন্ত্রের প্রকৃত চর্চা।
সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম বলেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে আপনার পদত্যাগ কেবল অস্থিরতাকে ত্বরান্বিত করবে না, বরং জাতিকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেবে। এটি এমন এক সুযোগ তৈরি করবে, যার মাধ্যমে কিছু অপশক্তি রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের প্রয়াস নিতে পারে — যা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, আপনার দায়িত্বে থাকা অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রীয় স্বার্থে আপনাকে নিচের পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করার অনুরোধ করছি:
১. উপদেষ্টা পরিষদ থেকে এমন ব্যক্তিদের অপসারণ করুন, যাদের কার্যক্রমে বিদেশি প্রভাব, বিশেষ করে ভারতের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্যের ইঙ্গিত রয়েছে এবং যারা জাতীয় স্বার্থবিরোধী ভূমিকা পালন করছেন।
২. প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করুন, যাতে কোন বাহিনী বা গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার সুযোগ না পায়।
৩. একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংলাপ ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু করুন।
আপনার অবস্থান বজায় রেখে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে জাতি আপনাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
"হায়রে বাঙালি জাতি!
তোমরা মানুষ চিনতে শিখলে না এখনো।
ড. মো. ইউনুস—এই মানুষটার টাকা-পয়সার অভাব নেই, ক্ষমতারও লোভ নেই।
তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, গর্বের এক নাম।
কিন্তু তিনি শুধু এইটুকু চান—এই দেশটার জন্য কিছু করতে।
তিনি চান মানবতা, উদ্ভাবন, আরেকটা সম্ভাবনার বাংলাদেশ।
আর আমরা?
আমরা তার হাত ধরার বদলে গলা টিপে ধরছি!
অন্যদিকে, চারপাশে শুধু ক্ষমতার জন্য দৌড়ঝাঁপ।
নীতিহীন রাজনীতি, দৃষ্টিহীন নেতৃত্ব, আত্মকেন্দ্রিক সমাজ।
সব মিলে যেন আমরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎকে হত্যা করছি।
কখন শিখব আমরা?
কখন চিনব প্রকৃত দেশপ্রেমিককে?
কখন বলব—না, এবার অন্যায়কে না বলব!
বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাস, সংগ্রাম, স্বপ্ন এবং বিস্ময়ের এক জটিল আবর্ত। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের রাজনীতি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। গণতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, সামরিক শাসন, নির্বাচন, আন্দোলন—সব মিলিয়ে এই ভূখণ্ডের রাজনীতি যেনো এক নাটকীয়তার নাম।
রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছিল জনসেবা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, রাজনীতিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, যারা জনগণের স্বার্থ নয়, বরং নিজেদের ক্ষমতা ও সম্পদের বিস্তারে ব্যস্ত। প্রতিপক্ষকে দমন, দুর্নীতি, হীনমন্য রাজনীতির চর্চা যেন একটি চিরাচরিত প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
আজকের প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষ রাজনীতিকে ভয় পায়, অবিশ্বাস করে। তারা মনে করে—রাজনীতি মানেই অস্থিরতা, সংঘাত, হরতাল, লুটপাট। অথচ রাজনীতি একটি মহান পেশা, যদি তা আদর্শভিত্তিক, নীতিনির্ভর ও জনকল্যাণমূলক হয়।
বর্তমান প্রজন্মের রাজনৈতিকভাবে জাগ্রত হওয়া জরুরি। সঠিক নেতৃত্ব বাছাই, রাজনৈতিক সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া একটি রাষ্ট্র কখনোই প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক হতে পারে না।
আমরা যদি চাই একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বাংলাদেশ, তবে রাজনীতিকে শুদ্ধ করা, জবাবদিহিতার আওতায় আনা, এবং তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক রাজনীতিতে যুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।
সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম জাতীয় স্বার্থে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে একটি সমন্বিত অবস্থানে আসতে হবে। দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।"
কাবা ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার জেলার আহব্বায়ক আলম ভাই আরও বলেন, "আজকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো দেশই টেকসই অগ্রগতির পথে এগোতে পারে না। বিভক্তি নয়, ঐক্যই হতে পারে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জাতীয় ইস্যুতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.