সোহরাব হোসেন সাতক্ষীরা থেকে :-
সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে শাশুড়ী আছিয়া খাতুনের মাথা ফাঁটিয়ে জখম করে পালিয়ে গেলেন জামাই আবুল খায়ের মিলন।এদিকে মারাত্মক আহতাবস্থায় আছিয়া খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার(৭ জুলাই) দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে।সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাজীপাড়া গ্রামের আকিমুদ্দীনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেক গাজীর ছেলের সাথে আমার মেয়ে আয়েশা খাতুনকে বিয়ে দেই। তাদের ঘরে এখন দুই সন্তান।
আমার জামাই আবুল খায়ের মিলন সাতক্ষীরা শহরের বাজার কোলকাতার নিচের ফ্লোরে এলজি শোরুমে এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। বিয়ের ১ মাস পর থেকে জামাই আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করা শুরু করে। তবে সেটি আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে মেয়ে সংসার করতে থাকে।
তবে তিন মাস আগে দুই সন্তানসহ আমার মেয়ে আয়েশা খাতুন মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন জামাই মিলন। এরপর থেকে ৪ বছরের ছেলে ও ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে থাকতো মেয়ে আয়েশা খাতুন।
সোমবার(৭ জুলাই) সকালে জামাই কয়েকজন লোক নিয়ে আমাদের এলাকা থেকে তার ৮ বছরের মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর সে দুপুরে আমাদের বাড়িতে হঠাৎ প্রবেশ করে এবং ঘরে ঢুকে মেয়েকে মারপিট করে ছোট ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুনঃ বোদায় চার ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, পুর্নবহালের দাবি
এসময় আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার জামাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ আমার মাথায় আঘাত করে। আমি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমার জামাই দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’
স্থানীয় মেম্বর আজিজার রহমান মাকা বলেন, ‘আয়েশা খাতুনকে প্রায়ই নির্যাতন করতো তার স্বামী। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিস হয়েছে। তবে স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি। হঠাৎ সোমবার জামাই মিলন শ্বশুর বাড়িতে এসে শাশুড়ী আছিয়া খাতুনের মাথায় আঘাত করে জখম করে পালিয়ে যায়।
তবে অভিযুক্ত জামাই আবুল খায়ের মিলন বলেন, শ্বশুর বাড়িতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমি শাশুড়িকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। এসময় দেয়ালে লেগে তার মাথা ফেঁটে যায়।
সাতক্ষীরা থানার ওসি শামিনুল হক দৈনিক বাংলার সংবাদকে বলেন, ওই ঘটনায় আহতের ছেলে আজিজুল হক বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.