নাটোরের লালপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। আর কিছু দিন পরে মাঠে মাঠে শুরু হবে রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ। তাই একটু আগে ভাগেই মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমন ধানের বীজতলার জমি তৈরি ও বীজ রোপণের কাজ। লালপুর উপজেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ও কম বৃষ্টিপাতের এলাকা হওয়ায় এখানে বোরো ধানের চাষ তেমনটা হয় না বললেই চলে। বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানই এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা। রোপা আমন ধানের চাষটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপরে। লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমের প্রায় ৩১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হতে পরে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হলেও গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে অনেক কৃষকের বীজতলা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে না গেলে ওইসব বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাবে। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠজুড়ে চলছে বীজতলার জন্য জমি তৈরি ও বীজ রোপণের কাজ। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ কৃষকরাই দেশীয় জাতের বদলে উন্নত উচ্চ ফলনশীল (বিনা ধান-১৭, ৭, ২০, ব্রি-ধান ৪৯, ৬৬, ৭২, হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও কেয়া) জাতের ধানের বীজ রোপণ করছেন। বিজ্ঞানের যুগে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাঠে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও বীজ রোপণ করা হলেও এই উপজেলার মাঠে এখন পর্যন্ত চলছে গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ রোপণের কাজ। এতে করে জমি ও বীজের অপচয়, বাড়তি শ্রমিক, অধিক সময় ও অধিক মূল্য বিনিয়োগ করেও কাক্সিক্ষত ফলন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার ধান চাষিরা। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের চাষিদের উন্নত পদ্ধতিতে রোপা আমন ধান চাষের জন্য প্রশিক্ষণ ও গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার হলে এই অঞ্চলে ধান চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার রোপা আমন ধান চাষি, আকমল হোসেন, রবিউল ইসলাম, সোহেল রানা, আব্দুল লতিফ, মুকুল হোসেন, হাবিবুর রহমান দৈনিক আমার সংবাদ কে বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকই আনন্দের সঙ্গে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে নিচু জমির বীজতলার চারা গাছ ডুবে গেছে। যদিও নিয়মিত পানি নিষ্কাষণের মাধ্যমে বীজতলা রক্ষার চেষ্ট করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ধানের চারা গজানোয় সমস্য হয়। এতে করে অর্থ ও শ্রম দুটিই নষ্ট হয়। তাই আবহাওয়ার প্রতি খেয়াল রেখেই বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন চাষিরা।’ তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর এই অঞ্চলে অনেক জমিতেই রোপা আমন ধানের চাষ হবে বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খান দৈনিক আমার সংবাদ কে জানান, ‘এ উপজেলায় বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে অধিক বৃষ্টিপাত হলে চারা গজানোর অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বীজতলার সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।’
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.