বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আইন-২০১৮ এর খসড়াও আজ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।নতুন কৃষিনীতি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনেক কিছুই এখানে নতুন যোগ করা হয়েছে। যেসব আগের নীতিতে ছিল না। তাই এটাকে বেশ সমৃদ্ধ এবং বিস্তারিত বলা যায়।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় পাট নিয়ে আলাদা একটা অধ্যায় এখানে সংযোজনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তিল, তিষী-এই বিষয়গুলো যেন এখানে আসে সেজন্য বলা হয়েছে। আর সমবায় ভিত্তিক খামার ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই নতুন খসড়া আইনের মূল লক্ষ্য-নিরাপদ লাভজনক কৃষি এবং টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন। আর এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- ফসলের উৎপাদন ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখিকরণ, পুষ্টি সমৃদ্ধ সিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন, লাভজনক কৃষি ও দক্ষ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
প্রযুক্তি নির্ভর কৃষির ওপর এখানে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে ২২টি অধ্যায় এবং ১০৬টি অনুচ্ছেদ-উপ অনুচ্ছেদ রয়েছে। সেখানে ন্যানো প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ এখানে যোগ করা হয়েছে। যেটা আগে ছিল না, নতুনভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মানঘোষিত বীজ উৎপাদন ও নগর কেন্দ্রিক কৃষি সম্প্রসারণ সেবা সংক্রান্ত বিষয়টিও নতুন যুক্ত করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সেবা, উদ্ভাবনী সম্প্রসারণ প্রযুক্তি, প্রযুক্তি ব্লক স্থাপন, বছরে ফল উৎপাদন-এগুলো আাগে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ফসলের রোগ, জাতভিত্তিক চাহিদার উন্নয়ন, পুষ্টি আহরণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আর ন্যানো সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমির গুণাগুল পর্যবেক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। গবেষণার অংশ হিসেবে ন্যানো এবং জেনেটিক্স গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রতিকূল পরিবেশের অঞ্চলগুলোর জন্য কৃষি কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টি একটি অনুচ্ছেদে আলাদাভাবে অধ্যায় করে বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, কৃষি উপকরণের নামে অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে-সুষম, জৈব, জীবাণু সার ব্যবহারের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। উপকারী পোকা ও জৈবসার, বালাইনাশক বিষয়ের নতুন সংযোজন করা হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নে জিআইএস, রিমোট সেন্সিং, ক্রপ মডেলিং, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার এবং স্থানীয় বা জাতীয় সমস্যা ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বিষয়টি অর্ন্তভূক্ত ছিল না, সেটা এখানে যুক্ত হয়েছে। সামুদ্রিক শৈবাল কৃষি ধারণার অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশ কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে এই কৃষিনীতিটাকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮ এর খসড়াও অনুমোদন দেয়:
১৯৭৬ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এতদিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পরিচালিত হচ্ছিল উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক শাসনামলে জারিকরা অধ্যাদেশগুলোকে বাংলায় রূপান্তর করে নতুন আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা থেকেই এটি বাংলায় অনুবাদ করে নতুন আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে বড় রকমের কোন পরিবর্তন নেই। একটি নতুন ধারা এখানে সন্নিবেশন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটি হচ্ছে পরিচালনা ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি ধারা। সেই ধারা মোতাবেক সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং একাডেমি যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে- বোর্ড ও সেকল ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে একাডেমির চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিশুকল্যাণ বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি, শিশুদের কল্যাণে অবদান রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সরকার মনোনীত চারজন ব্যক্তি-যাদের দু’জন হবেন মহিলা এবং একাডেমির মহাপরিচালক। এর সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একজন প্রতিনিধি যুক্ত করার জন্যও নতুনভাবে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একাডেমিক কার্যাবলী আগে যা ছিল প্রায় তাই থাকবে, কেবল সামান্য কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। শিশুর বিকাশ ও কল্যাণে ভূমিকার জন্য শিশু একাডেমি থেকে সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নিয়োগের হবে, যে বিধি প্রণয়নের কাজ এখনও চলছে।
ভাষা, সাহিত্য বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সামাজিক বিষয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এমন ব্যক্তিবর্গই সরকার কতৃর্ক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। যিনি সরকারি কর্মচারিও হতে পারেন বলে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এই আইনের ১০ ধারায় মহাপরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে- মহাপরিচালক একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হবেন এবং তার চাকরির শর্তাবলী অনুযায়ী পরিচালিত এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার বোর্ডের সভা হতে হবে এবং এই সভা কোথায় কখন কিভাবে হবে তা চেয়ারম্যান কতৃর্ক নির্ধারিত হবে। আর কোরামের জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি থাকতে হবে। চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক হবেন না, বোর্ডসভা যখন থাকে তখন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফর, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর জাপান সফর, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিক্সথ ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্ট সামিটে অংশগহণ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর এস্তোনিয়াতে ই গর্ভার্নেন্স কনফারেন্স-২০১৮ তে অংশ গ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.