গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু যোগদান করার পর থেকেই হেন কোন অনিয়ম দূর্ণীতি নেই যে তিনি করেননি। বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন জাতীয় ফল মেলার উদ্ভোধন কালে শুধু মাত্র দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করা ফল দিয়ে এই মেলার উদ্ভোধন করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এবং সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরতে গনমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। এসব কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই তিনি কোন কৃষক এবং গনমাধ্যম কর্মীদের না জানিয়ে মনগড়াভাবে করছেন এই মেলা।
স্থানীয় সংবাদ কর্মী এবং কৃষকদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এর আগে জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দৃশ্যমান অনিয়ম দুর্নীতির কারনে সেখান থেকে বদলি করে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করে।
এখানে যোগদান করার পর থেকেই যেন আরো বেড়েছে অনিয়ম দুর্নীতি। তারই ধারাবহিকতায় কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনে অনিয়মের পাশাপাশি কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজেই ভোগ করছেন।
তথ্য সুত্রে আরো জানা গেছে,এই কর্মকর্তা চাকুরিতে যোগদানের সময়ই ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে যোগদান করেছেন এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে আসার তারিখ নির্ধারন করেছে।
শুধু তাই নয় তথ্য অধিকার আইনে সংবাদকর্মীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তার চিঠি সম্বলিত আবেদন করলেও তথ্য অধিকার আইন এবং জেলা কর্মকর্তাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনিয়মের পথ।
আরো জানা গেছে,এই দুর্ণীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করছেন এবং সে কারনেই কৃষি অফিসের ওয়েব সাইডে এখনো দৃশ্যমান সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির ছবি।
গনমাধ্যম কর্মীরা এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মুখ টিপে হাসতে থাকেন। তার এই নীরবতায় প্রমাণ করে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ সত্য।
আরও পড়ুনঃ ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানে অটোরিকশা চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
এ ছাড়াও তার চাকুরিতে যোগদানের সময় কালিন মুক্তিযোদ্ধা কোঠার বিপরীতে জমাকৃত কাগজ অনুসন্ধানে জানা গেছে,প্রকৃত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫টি এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি কাগজ থাকার কথা থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েব সাইডে শুধু মাত্র একটি কাগজ পাওয়া যায় এবং সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ তালিকায়।
এ বিষয়ে আরো জানা গেছে,তার বাবার কাগজ জাল হবার কারনে একবার বাতিল হয়েছিল। এই ভাবে জাল কাগজ পত্র দিয়ে চাকুরিতে যোগদানের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন আসার কথা থাকলেও কোন কারনে আসেনি।
এসময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের সাথে কথা বললে তিনিও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যদিও আমি এখানে নতুন তারপরও কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়গুলো অবগত হয়েছি এবং আজকের যে বিষয়টি এটি সঠিক হয়নি।
কেননা সংবাদ কর্মীরা সমাজের আয়না তাদের মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র সাধারন মানুষ জানবে সেখানে যাদের জন্য আয়োজন এই ফল উৎসব সেই কৃষকদের অনুপস্থিতি এটি দৃষ্টিকটু।
অনিয়ম দুর্ণীতে জর্জড়িত এই আওয়ামী দোসর কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ সকল অনিয়মের অবসান করে কৃষক বান্ধব কোন কৃষি কর্মকর্তা এই উপজেলার দায়িত্বে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসী এবং সুধী সমাজের।।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.