নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের গর্ব ও অহংকার। কিন্তু রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন তখন আর মানুষের ভরসার জায়গা থাকেনা। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সিলেটের ৪ টি থানার দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ ক্যাম্প। অভিযোগ ছাড়া একজন আয়াছ আলীকে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন আয়াছ আহমদ ও তার পরিবার। আয়াছ আহমদ বলেন, আমাকে বার বার ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কোন প্রমান ছাড়া, লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমার বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জে সেনাবহিনী আমাকে খুজাখুজি করে এরপর আমি ভয়ে আত্নগোপনে চলে যাই।
পরবর্তীতে আমার এক আত্নীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর পরামর্শে আমি গোলাপগন্জ ক্যাম্পে হাজির হই। এরপর থেকে শুরু হয় আমাকে হয়রানী, বার বার আমাকে ক্যাম্পে ডাকা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১২/০৬/২০২৫ইং তারিখে একটা লিখিত কাগজ তৈরী করে রাত ২:০০ ঘটিকার সময় আমাকে জোরপূর্বক
স্বীকারোক্তিমূলক কাগজে স্বাক্ষর করানো হয় যেখানে তারিখ ১৩/০৬/২০২৫ ইং উল্লেখ করা আছে। আমাকে গোলাপগন্জ থানায় ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে থানায় হস্তান্তর করে লকাপে ডুকানো হয়, কোন মামলা ছাড়া যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল ।
পরদিন ১৪/০৬/২৫ ইং তারিখে পূনরায় ক্যাম্পে ডেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি মূলক কাগজটি আমাকে পড়তে বলেন, ক্যাপ্টেন রুম্মান এবং আমার ভিডিও ধারন করা হয়,এতে ক্ষান্ত হননি ক্যাপ্টেন রুম্মান তিনি মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সৌদি প্রবাসীকে মামলার বাদী হওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেছেন বলে ও অনেকে আয়াছ আহমদ আব্বাস কে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন।
আয়াছ বলেন, ক্যাপ্টেন রুম্মান কোন স্বার্থে এমন আবেগের মুখোমুখি হয়ে এসকল ঘটনা ঘটাইতেছেন তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন যা বাংলা ছায়াছবিকে ও হারমানায়। একটা স্বাধীনদেশে মামলা ছাড়া, অভিযোগ ছাড়া, বাদী ছাড়া একজন প্রবাসীর সাথে এমন আচরণ অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারার শামিল।
জুলাই অভ্যুথানে ঘাপটি মেরে থাকা দোসর বলে মনে করারটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন ভূক্তভোগী পরিবার ও সচেতন সমাজ। আয়াছ আহমদ আব্বাস আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি আমাদেরকে জানান এবং ঐ ক্যাম্পের ক্যাপ্টেনকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান, প্রধান উপদেষ্টা, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সহ সকলের কাছে তিনি বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন বলে আমাদের প্রতিনিধি কে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ চুলার ধোঁয়া বসতঘরে আসার কারনে প্রান গেল মনিরের
আয়াছ আহমদ আরো বলেন, আমি খুব শীঘ্রই প্রেস কন্ফারেন্সের মাধ্যমে ঘটনাটি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবো এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবী করবো বলে জানান। আয়াছ আহমদ আব্বাস বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সবাই ভয়ে দিনযাপন করছি কখন জানি সেনাবাহিনী এসে আমাদেরকে ধরে নিয়ে যায় এবং আমাকে প্রাণে হত্যা করে ফেলতে পারে বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে।
আমার পরিবার ভয়ে আতংকে দিনাতিপাত করতেছে কখন জানি কি হয়। ভুক্তভোগী আয়াছ আহমদ প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান,সিলেটের সেনাবাহিনী প্রধান কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর অভিযোগ করেছেন, তিনি আশা করেন অনতিবিলম্বে একটি ন্যায় বিচার পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.