মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অসহযোগিতা ও ফ্যাসিস্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ নাগরিকরা।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচে সাংবাদিক পরিবারের বসবাস, ইউএনও’র দায়সারা তদন্ত’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই ফেসবুকজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই মন্তব্যে ইউএনও’র আচরণকে ‘অমানবিক’, ‘ফ্যাসিবাদী’ ও ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে অভিহিত করেন
ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর পিপলস (এনসিপি) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ইউএনও’র বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ জানানো হয়। গত ১৮ মে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ ফেসবুকে লেখেন:
তবে কি সাদুল্লাপুরের ইউএনও ফ্যাসিস্টদের হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে কাজ করছেন?”
আরও পড়ুনঃ চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার শরয়ী হুকুম:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ সাগর লিখেছেন:
ইউএনও নিষিদ্ধ আ.লীগকে সহায়তা করছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অপসারণ না হলে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।”
এই পোস্টগুলোর পর সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে ছাত্রনেতা পর্যন্ত অনেকে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট মনোভাব’, ‘অসহযোগিতা’ ও ‘অপমানজনক আচরণ’-এর অভিযোগ তোলেন। কেউ কেউ দাবি করেন, ইউএনও সরাসরি খারাপ ব্যবহার করেছেন এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে হয়রানি করছেন।
সাংবাদিক জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার বসতবাড়ির পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি মেহগনি গাছ রয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও'র কাছে আবেদন জানানো হলেও তিনি ‘দায়সারা তদন্ত’ করে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান ও মামুনুর রহমান বলেন:
ইউএনও আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।”
কমেন্টে আরও দেখা যায়, কেউ লিখেছেন, “তার আচরণ পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী”, আরেকজন বলেন, “প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউএনও হয়রানি করছেন।”
ইউএনও অনিক ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাধারণ সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, সরকারি ফোন কিংবা ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করলে সাড়া দেন না, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তারও উত্তর দেন না। এর ফলে সাধারণ জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে, দীর্ঘদিন পরিষদের হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করা দুই প্রবীণ কর্মচারী খোকন ও মোহাম্মদ আলীর প্রতি ইউএনও’র অবমাননাকর আচরণ। অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের অফিসে আসতে নিষেধ করেছেন ইউএনও।
বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টের পর ইউএনও কয়েকজন ছাত্রনেতাকে কার্যালয়ে ডেকে নিলেও সমঝোতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এনসিপি ও ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রশাসনের ফ্যাসিস্ট আচরণ রুখে দাঁড়াব, বিপ্লব চলবে।”
সাদুল্লাপুরের ইউএনও অনিক ইসলামকে ঘিরে এই উত্তেজনা ও সমালোচনা স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। জনদুর্ভোগ ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলো।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়ামোঃ আমিনুল ইসলাম,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম,
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন,
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত,
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল,
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং ৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736091515, 01716698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.