তাহিরপুরে বাংলা কয়লা পরিবহনে বাধা: ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী মোশারফ ও জীবিকার সংকটে হাজারো মানুষ
মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সিনিয়র সাংবাদিক স্টাফ রিপোটারঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও এলাকায় স্থানীয়ভাবে উত্তোলিত বাংলা কয়লা পরিবহনে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিয়েছে। কয়লা পরিবহনে বাধার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা, আর জীবিকার সংকটে রয়েছেন এলাকার হাজারো কয়লা শ্রমিক।
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মালঞ্চ গ্রামের হালাল ব্রিকস ইটভাটার মালিক মোঃ মোশারফ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে তার ক্রয়কৃত কয়লা নিরাপদে ঢাকায় পরিবহনের অনুমতি ও প্রশাসনিক সহায়তা কামনা করেছেন।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর স্থানীয় নুরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম (শফু), আঃ হেকিম, আবু বকর দিপক, আঃ রহমান ও কুতুব উদ্দিনদের কাছ থেকে তিনি মোট ৪০৫ টন বাংলা কয়লা ক্রয় করেন। কিন্তু কয়লাগুলো নৌপথে ঢাকায় পাঠানোর সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের বাধার কারণে সেগুলো পরিবহন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কয়লাগুলো নদীর ধারে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা পরিবারসহ কিছু কয়লা উত্তোলন করি এবং বিভিন্ন লোকের কাছ থেকেও কয়লা কিনে জমা করেছিলাম। অনেক কয়লা আমরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছি, কিন্তু তারা পরিবহনের অনুমতি না পেয়ে এখন নিতে পারছেন না। পরিবহনে বাধা থাকায় আমরা নতুন করে কয়লা তুলতেও পারছি না। ফলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তফসিলদার রঞ্জন সরকার সরেজমিন তদন্তে যান। তদন্ত শেষে তিনি জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২৭০ টন কয়লা উপস্থিত পাই। আমরা যে কয়লা পরিদর্শন করেছি, তা আসলেই বাংলা কয়লা।
তিনি আরও বলেন, এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এই কয়লা উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। কয়লা উত্তোলনে বাধা থাকায় তারা নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। গরিব-অসহায় মানুষের জীবিকার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মোঃ মোশারফ বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে আমি চারাগাঁও জঙ্গলবাড়ী এলাকার পানি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৪০৫ টন কয়লা ক্রয় করি। তখন কয়লা পরিবহনের সময় পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়ি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি। একাধিক তদন্ত হলেও এখনো কোন সমাধান পাইনি। বর্তমানে আমার ৪০৫ টন কয়লার মধ্যে প্রায় ২৭০ টন অবশিষ্ট আছে— কিছু চুরি হয়েছে, কিছু স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করতে হয়েছে। এতে আমি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী কয়লা পরিবহনের অনুমতি আশা করছি।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমে ছড়া ও পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নারী-পুরুষ মিলে কয়লা সংগ্রহ করেন। এটি তাদের একমাত্র জীবিকার উৎস। কয়লা উত্তোলন ও পরিবহনে বাধা অব্যাহত থাকলে পুরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও বেকারত্ব বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফরহাদ মাজহার
উপদেষ্টাঃ এস,এম নজরুল ইসলাম ভুইয়া
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আবুল হাসেম
উপ সম্পাদকঃ এম, আসমত আলী মিসু
সহঃসম্পাদকঃ আলী নওয়াব খোকন
বার্তা সম্পাদকঃ ইয়াছিন আরাফাত
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ আসাদুজ্জামান খান মুকুল
www.dainikbanglarsangbad.com
ইমেইলঃ dainikbanglarsangbad490@gmail.com
প্রধান কার্যলয়ঃ বাড়ি নং ৩৫, রোড নং-৪, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইলঃ01736-091515, 01716-698621
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright © 2025 dainikbanglarsangbad.com. All rights reserved.